ইউনিয়ন পরিষদ, খবর, গ্রাম, গ্রাম পঞ্চায়েত, জাতীয় মহা সংসদ, জাতীয় সংসদ, জেলা পরিষদ, নতুন আর্টিকেল

আমি কলেজ পড়ুয়াদের কাছে এই আবেদন জানায়

আমি কলেজ পড়ুয়াদের কাছে এই আবেদন জানায় যে উচ্চশিক্ষা অর্জন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন। মনে প্রানে চেষ্টা করবেন পরীক্ষায় পাস করে একটি চাকরি পাবেন। অনেক টাকা রোজগার করে কত চাহিদা পূর্ণ করবেন। সবই ঠিক আছে। কিন্তু একটি বিষয় চিন্তায় ফেলে রাখে। তা হল , রোজগার করে আনা টাকা আমার থাকবে তো ?

আমি অন্যের কাছ থেকে লোভ লালসা থেকে নিজেকে আগলে রাখতে পারব তো ?

আমি যদি গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল থাকি তখন তো আমাকে ক্রয় করার জন্য কতই না লোভ দেখানো হবে। ভয় দেখানো হবে ইত্যাদি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবো তো ?

না পারলে একসময় শাস্তি পাব। যারা লোভ আর ভয় দেখাবে তারা শাস্তি পাবে না। এই হল চিন্তার বিষয়।

আর এই থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য একটি দিকনির্দেশনা আছে। তা হল রাষ্ট্রের নাগরিক হয়ে থাকার জন্য , নাগরিক অধিকার ও কর্তব্য জানা থাকা প্রচুর পরিমাণ ভালো।  আর তা হলো প্রশাসনিক ব্যবস্থা, সাংবিধানিক পাঠ করা, এবং বিচার ব্যবস্থাকে বোঝা ও জানা। রাষ্ট্র কি প্রকার তার নাগরিকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে এবং তা বিশ্বাসযোগ্য কিনা তাও বোঝা প্রয়োজন। তাই সব মিলে অর্থনৈতিক বিষয়, রাজনৈতিক বিষয়বস্তু, প্রশাসনিক ব্যবস্থা, ইতিহাস , পৌরবিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়গুলো পড়া খুবই প্রয়োজন। এ বিষয়গুলো জানা থাকলে কষ্ট পাবেন না। যদি আপনি আজ আপনার দায়িত্ব-কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিজেদের মধ্যে রাখতে পারেন , তাহলে আপনার পরে যারা প্রশাসনে আসবে তারা আপনাকে সঠিকভাবে আপনার কে সেবা দিয়ে যাবে। প্রশাসনিক ব্যবস্থাটাই এমন একটা সক্রিয় পরিচালক। যদি প্রভাব মুক্ত থাকে আর প্রভাব মুক্ত রাখার জন্য প্রতিটি নাগরিকদের বিদ্যা অর্জন অতি প্রয়োজন।

আজ যারা কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে তারা যদি চার বছর পর দুই কোটি কলেজ পড়ুয়া নাগরিক বিশ্ববিদ্যালয় পাস করে সবাই গ্রাম বাংলার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ সম্পূর্ণ নিজেদের মতো করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে পারে, তখনই শিক্ষা গ্রহণ করার সার্থকতা হবে সবার জন্য। কারণ এই ইউনিয়ন পরিষদই হবে নাগরিকদের দেখাশোনা করার জন্য এবং সকল বিষয়ে নাগরিকদের চাওয়া পাওয়া অধিকার । এই ইউনিয়ন পরিষদে ২২ টির মত শাখা প্রশাখা থাকবে। এখানেই থাকবে সকল অভিজ্ঞ লোকজন।

আর একটা বিষয় হলো দেশের বাংলা বইয়ের মধ্যে তেমন একটা ভালো জ্ঞান অর্জন করার মত বই হয় না। আমেরিকান অনেক উক্তি আছে অথবা অনেকগুলো যুক্তি সামাজিক অর্থনৈতিক শোষণ থেকে যায় এই মত যুক্তি সহকারে লিখা বই পাবেন।

সেগুলো পড়ে কোন জ্ঞান অর্জন হবে না।
সেজন্য ইংরেজিতে পড়ার জন্য খুঁজতে হবে পৃথিবীর সকল দেশের লোকের গভার্মেন্টে উপর করতে শুরু করলে ধীরে ধীরে বুঝতে সক্ষম হবেন।

তারপর হয় নিজেদের মতো করে নিজেদের দেশ ও এলাকাকে সাজানো-গোছানো নিজেদের মতো আবিষ্কার করা হবে সার্থকতা।

শক্তিশালী স্থানীয় সরকার করতে পারলেই আমাদের পঞ্চায়েতি সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আমাদের হাতে থাকবে। সরকারি সম্পদ এটা হল পঞ্চায়েতি সম্পদ। আমরা দেখাশোনা করব আমরা বিতরণ ব্যবস্থা করব কোন ব্যক্তি বিশেষ দারা সবকিছু দেওয়া যাবে না। যে জন্য প্রচুর বিদ্যা অর্জন করতে হয়। এই বিদ্যায় ভেতরে শক্তি লুকিয়ে আছে বের করতে হবে।

তাই আমি আবেদন করি রাজনৈতিক,  প্রশাসনিক এবং অর্থনৈতিক ইত্যাদি বিষয় নিয়ে অধ্যয়ন করার জন্য।

আমরা স্বায়ত্তশাসন গ্রহণ করব।
Self Government Union Parishod

আমি যেমন করে আহ্বান করিতেছি তা হল,  দেশের মধ্যেই বই আছে। সব কয়টির সাথে মত না হতে পারলেও কিছু কিছু বই আছে পড়তে পাওয়া যায়। যার সাথে মিল পাওয়া যায় আমার বক্তব্যে। 

যেমন উচ্চ বিদ্যালয় এর জন্য লেখা বই পৌরবিজ্ঞান,  রাষ্ট্রবিজ্ঞান, বাংলাদেশ, সংবিধান ,লোক প্রশাসন আরো অনেক আছে আইন বিষয়ক ইত্যাদি নিজের ক্রয় করে পড়তে হবে। না হয় আমি দিতে পারি। 

 

নিজে নিজেকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। নিজেকে নিজে আবিষ্কার করতে হবে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকিয়ে থাকলে কিছুই জীবনে পাবে না। পৃথিবী সহজ নয়। কখনো কোনো প্রতিষ্ঠান তোমাকে পুরোপুরি জ্ঞান দান করবে না। তাই নিজেকে দাঁড় করাতে হবে, যুদ্ধে জয় করতে হবে জ্ঞান-বিজ্ঞান দিয়ে। 

 

 

পড়ুয়াদের জন্য – 

আমার ফেসবুকে Aklis Miah নামে একটি আইডি আছে। এখানে আমি যতটা মতামত পোস্ট করি অন্যান্য পত্র পত্রিকা থেকে তাদের লেখা গুলি , তা একবার বা কয়েকবার করে পড়ার অনুরোধ করি । 

 

এতে যা লিখা রয়েছে সবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেজন্য আমি পোস্ট করেছি আপনাদের সাথে নিয়ে পড়তে এই সব লেখা। 

 

আমি গত ৩০ বছর বা তারও আগে থেকে পড়তেছি এবং সংরক্ষণ করতেছি। কতসব লেখকের লেখা পড়েছি তা মনে নেই। তাদের লেখার মধ্যে যে অনুতাপ আছে তার সমাধান খুঁজতে খুঁজতে আমার আসা হল।  যে প্রকার প্রশাসনিক ব্যবস্থা আমি লিখছি, প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ব্যবহার করে সরকার গঠন করতে পারলে আমরা সকলের জন্য একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে সক্ষম হবে। 

আমি যে প্রকার প্রশাসনিক ব্যবস্থা লিখছি তা আর আগে কেউ কোনদিন দেখেননি।

আর কোনদিন কেউ লিখবেও না। এজন্য অনুরোধ করি একবার নয় কয়েকবার পাঠ করবেন। 

 

কোন সিনেমা ভালো লাগলে যদি কয়েকবার দেখেন, দেখবেন না দেখা অনেক কিছু রয়ে গেছে। পড়ার মধ্যেও এমন হয় কয়েকবার করলে আমি বলি হজম হয়েছে ইংরেজিতে বলে Study Study Study করছি। 

এইজন্য আমার পোস্টগুলো দেখবেন । আমি প্রশাসনিক ব্যবস্থার মধ্যে সমাধান এনেছি। তা হবে সবার জন্য ,এক দিনের জন্য নয় ,অনেক দিনের জন্য। যখন আমার প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রতি ঘরে ঘরে পৌঁছাবে, সকল নাগরিকগণের কাছে পৌঁছে যাবে, তখনই আমরা সক্ষম হব সরকার গঠন করতে। 

তাই আমি যাই চার কোটি মানুষ নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অভিজ্ঞতা অর্জন করা, একটি সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য। 

 

 

এই কল্যাণে রাষ্ট্রের বিরোধিতা করার লোকের অভাব হবে না। এক অংশ জনগণ থাকবেন তারা মানতে রাজি হবে না। তাদেরকে বোঝানো যাবে না কারণ তারা তাদের আধিপত্য বা প্রভাবকে ছাড় দিতে চাইবে না। সরকার ও চাইবে না তাই তাদের সাথে তর্কে জড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। 

নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। অপমান সইতে হবে, গালি শুনতে হবে, তিরস্কার সইতে হবে, প্রতিশোধ নেওয়া যাবে না। 

সেই মতো আমাদেরকে আবিষ্কার করতে হবে। গণমানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হবে। কল্যাণ রাষ্ট্র হলে হাসি ফুটবে।

– আকলিছ মিয়া
08, July 2022

Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments